শুধু মাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই অনলাইনে আয় কিভাবে করবেন ? মোবাইলে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলো কি? ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ ও নিরাপদ উপায় কি?
অনলাইন পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম টাকা ইনকাম করার সহজ ও নিরাপদ কিছু কৌশল ব্যবহার করে মাসে মিনিমাম ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পযর্ন্ত আয় করা সম্ভব।
বর্তমান সময় টেকনোলজি এতোটাই ফাস্ট এবং অ্যাডভান্সড হতে চলেছে যে, শুধু মাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও অনলাইনে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম কাজ করে টাকা ইনকাম করা এখন শুধুমাত্র ইচ্ছ ও সময়ের ব্যাপার।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক উপায় আছে তবে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ২ টি সেরা টিপস দেওয়া হলো। একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা খুবই জরুরী, কষ্ট না করে জীবনে কিছুই পাওয়া যায়না। অনলাইন থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা কমানোর জন্য কিছুটা পরিশ্রম করতেই হবে। যাইহোক, তাহলে চলুন জেনে নেওইয়া যাক সেই মাধ্যম গুলো কি কি?
১. ব্লগিং এবং ওয়েবসাইটের দ্বারা ইনকাম
কনটেন্ট টেবিল
মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও একটি সুন্দর ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে সেই ব্লগ বা ওয়েবসাইট এ নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা যায়।
আর এর জন্য এক আনাও খরচ করতে হবে না একদম বিনে পয়সায় গুগুলের blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে যেকেউ তার জিমেইল ব্যবহার করে একটি ফ্রি ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবে।
তারপর, যখন ব্লগ বা ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিটর বা ট্রাফিক আসা আরম্ভ হবে তখন বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে উক্ত ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা শুরু হতে থাকবে।
প্রাথমিক পর্যায় মনে হতে পারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করা অনেক কঠিন বা ঝামেলার। কিন্তু, সত্যি বলতে তা একদম নয়। মোবাইল ব্যবহার করে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে। এরপর শুধু সেই ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভালো ভালো ইউজার ফ্রেন্ডলি কিছু আর্টিকেল লিখে পোস্ট করার মাধ্যমে ভিজিতর বা ট্রাফিক আনতে হবে।
এছাড়া যখন ব্লগে ভিজিটার আশা আরম্ভ হবে তখন গুগল এডসেন্স এপ্লাই করে উক্ত ব্লগ বা ওয়েবসাইট হতে মাসে ১০০ থেকে ১০ হাজার ইউ এস ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
গুগল এডসেন্স কি?
গুগল এডসেন্স হলো গুগলের একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে তার বিনিময়ে গুগল হতে রেভিনিউ আয় করার সুযোগ দেয়। বর্তমান সময়ে ব্লগার “গুগল এডসেন্স” সার্ভিস ব্যবহার করে মোবাইল ফোন দিয়েই ঘরে বসে প্রচুর টাকা আয় করছেন।
২. ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে আয়
ব্লগিং এর মতো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইন হতে টাকা কমানোর জন্য ইউটিউব চ্যানেল বানানোর আইডিয়া টি বেশ অনেকটাই লাভজনক। ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করেও টাকা আয় করার যায়।
তবে মনে রাখা ভালো ইউটিউব কপিরাইট ব্রেক হয় এমন ভিডিও বা কন্টেন্ট আপলোড করা যাবে না। ভিডিও ও কন্টেন্ট অবশ্যই নিজের বানানো হতে হবে। যদি অন্য কারো ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করা হয় তাহলে সেটা কপিরাইট ভিডিও হিসাবে ধরা হবে।
ভিডিও তে কপিরাইট থাকলে সেই ভিডিও হতে কোন ইনকাম করার অপশন থাকে না বরং যে কপিরাইট মালিক তার কাছে সেই রেভিনিউ চলে যায়। তাই নিজের বানানো কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করা ভালো।
খুব দ্রুত সাফল্য পেতে নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। তবে, মনে রাখা ভালো, “যা বানাবেন নিজে বানাবেন” আর ভিডিওর কোনো অংশতে যাতে অন্য কোনো ভিডিও’র কোনোরকম কপি করা পার্ট বা অংশ না থাকে।
নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার পর সেই ভিডিওতে হতে যখন চ্যানেলে ০৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম ও ০১ হাজার সাবস্ক্রাইব হবে তখন চ্যানেল টি মনিটাইজ পার্টনার প্রোগ্রামে এপ্লাই করার ইমেইল অথবা অপশন পাওয়া যাবে। মনিটাইজ অন হওয়ার পর উক্ত চ্যানেলের সকল ভিডিও হতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে প্রচুর পরিমান অর্থ আয় করা সম্ভব।
ইউটিউব মনিটাইজ পার্টনার প্রোগ্রামে কি?
ইউটিউব মনিটাইজ পার্টনার প্রোগ্রাম হলো গুগল এডসেন্স এর মত ই গুগলের আরেকটি সার্ভিস যা ইউটিউব নাম দিয়েছে মনিটাইজ পার্টনার প্রোগ্রাম তবে মজার বিষয় হলো এটার জন্য আলাদা কোন একাউন্ট বা জিমেইল খোলা লাগবে না চাইলে পূর্বের ওয়েবসাইটের গুগল এডসেন্স দিয়ে এই সার্ভিস টি ব্যবহার করা যাবে।
উপদেশ
অনলাইনে অনেক মাধ্যম আছে যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি যেমন ধরুন ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অনেকেই হয়তো জানে না এই মাধ্যম গুলোও কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
ইচ্ছে ও মেধা যার কাছে সে কখনো না খেয়ে মরে না সে একটা না একটা পথ খুজে বের করে ফেলে। অনেকে নেশা কে পেশা বানায় আবার অনেকে পেশা কে নেশা বানায়।
আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকলে লাইক করে শেয়ার করে দিন।
