বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং” ঘনীভূত হয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় কয়রা, মোংলা ও আশাশুনিসহ খুলনা উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে খুলনার কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, সাগর আরও বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলায় সাত নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরপরই ঝুঁকিপূর্ণ জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ উপজেলায় ১০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ সবাইকে সন্ধ্যার আগেই এসব আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে।
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘মোংলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে দুপুরের খাবার খেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের সন্ধ্যার আগেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে জোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কারণ সিত্রাং ঝড়টি রাত ১২টার মধ্যে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।’
সিত্রাংয়ের প্রভাবে মধ্যরাত থেকে উপকূলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে; সেইসঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। উপকূলের নদীগুলোতে পানির চাপ বেড়েছে। এর ফলে কয়রা ও সাতক্ষারীর আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধসে গেছে কয়রার হরিণখোলা বেড়িবাঁধ।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ইউএনওদের সার্বিক পরিস্থিতিতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র, মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।’
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, ‘উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি মোংলা বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার।